বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি এ কে এম শামীম ওসমান, কৃষক লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আব্দুল মতিন প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের সহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন নিহত সজিব এর পিতা মোঃ সালাউদ্দিন।মামলা নাম্বার ০৯/০৪/২৫।
প্রায় ১ বছর দেড় দশ মাস পর ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে মোঃ সালাউদ্দিন নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মালমাটি নথিভুক্ত হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় একশ থেকে দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হলেও বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।
মামলায় ১৫ নাম্বার আসামি করা হয়েছে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার রাজ’কে।আসামি রাজ পলাতক আজমেরী ওসমানের ক্যাডার ছিলেন। ক্যাডার পরিচয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর প্রয়াত নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমানের ক্যাশিয়ার মেহেদী হাসান রাজুকে ভুইগড় রুপায়ন টাউনের বাসায় আত্নগোপনে রেখেছিলেন এম এ হোসাইন রাজ। পরে জানাজানি হলে কৌশলে রাতের আঁধারে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। এ ঘটনার একটি অভিও ভাইরাল হয়েছিল। এ ঘটনায় কয়েকটি গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল।
তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা আজমেরী ওসমানের ক্যাডার পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে বহু অর্থের মালিক হয়েছেন রাজ। নামে বেনামে জায়গা ও ফ্ল্যাট বাড়ি রয়েছে তার।৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর খোলস পালটে টাকার বিনিময়ে একটি বিশেষ দলের কিছু লোক ম্যানেজ করে নিজেকে ফ্যাসিস্ট বিরোধী দাবী করার চেস্টা করছেন।